ক্লাবগুলোর মান কিংবা র্যাংকিংয়ের দিক থেকেও এশিয়ার তলানীতে অবস্থান ব্রুনাই’য়ের। তবে দেরিতে হলেও টনক নড়েছে দেশটির কর্তাব্যক্তিদের। গেলো অর্ধযুগে ঢেলে সাজানো হয়েছে দেশটির ক্লাব ফুটবলীয় কাঠামো। যার ফলাফলও মিলছে হাতেনাতে। এশিয়ার দেশগুলোর ঘরোয়া লিগ নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ঊনবিংশতম পর্ব সাজানো হয়েছে ব্রুনাইয়ের ক্লাব ফুটবলের বিস্তারিত দিয়ে।
জিডিপি কিংবা সার্বিক অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধি, এক সময়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার রোল মডেল ছিলো ব্রুনাই৷ দাপট ছিলো মাঠের খেলাতেও, আলাদা করে বললে ফুটবলে৷ তবে এক পরিকল্পনার অভাবে ভেস্তে গেছে সবকিছুই৷
১৯৬৯-এ এএফসি আর ৭২’এ ফিফার সদস্য হয় দেশটি৷ শুরুতে বিচ্ছিন্নভাবে খেলা হলেও ব্রুনাইয়ে প্রথম ঘরোয়া ফুটবল মাঠে গড়ায় ৮৫ সালে৷ আবার মাত্র ৮ বছর চলেই বন্ধ হয়ে যায় তা৷
শুরু থেকেই ফুটবল নিয়ে উদাসীন ছিলো দেশটির কর্তাব্যক্তিরা৷ ২০০২ সালে ৮ দল নিয়ে আবারো শুরু হয় ব্রুনাই প্রিমিয়ার লিগ৷ চলে দশ পর্যন্ত৷
২০১১ সালে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা হাসনাল বলকায়া’র প্রত্যক্ষ্য তত্ত্বাবধানে নতুন ভাবে ঢেলে সাজানো হয় ব্রুনাইয়ের ঘরোয়া ফুটবল৷ বরাদ্দ করা হয় ১০ মিলিয়ন ইউএস ডলার৷ সর্বোচ্চ লিগের নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় ব্রুনাই সুপার লিগ৷ দলের সংখ্যা বেড়ে হয় ১০টি৷
এর বাইরেও সামবেংজি কাপ ও DST FA কাপ নামে চালু করা হয় আলাদা দুইটি টুর্নামেন্ট৷ নক আউট ভিত্তিক এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় দেশটির প্রত্যেকটি ক্লাব৷
ব্রুনাইয়ের সবচাইতে সফল দল আর্ম ফোর্স স্পোর্টস কাউন্সিল৷ যারা জিতেছে ৪টি লিগ টাইটেল৷ এর বাইরে বাকি দুটি ট্রফি গেছে ইন্দেরা এসসির ঝুলিতে৷
তবে এতো প্রচেষ্টার পরেও দর্শকপ্রিয়তা পায়নি ব্রুনাইয়ে ঘরোয়া ফুটবল৷ এর বড় কারণ লিগে সার্ভিসেস দলগুলোর আধিপত্য৷ গড় উপস্থিত মাত্র ৫’শর মতো৷ যা এশিয়ার লিগগুলোর মধ্যে ৪র্থ সর্বনিন্ম৷ গড় গোল ২টা৷
বর্তমানে ব্রুনাইয়ের ক্লাব ফুটবলের একটি দল খেলে এএফসি কাপের প্লে অফে৷ তবে ২০২২ সাল থেকে সুপার লিগের এক দল এই টুর্নামেন্টে খেলবে সরাসরি৷ আর ফিফা র্যাংকিংয়ের ১৯১তম অবস্থানে আছে ব্রুনাই জাতীয় ফুটবল দল৷