বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনের চেষ্টা চলছে। ভারতও থেমে নেই। দেশটির সিরাম ইনস্টিটিউট আগামী মে মাসেই টিকা উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল টিকা উদ্ভাবনে অনেকটাই এগিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুজন স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এ টিকা প্রয়োগ করা হয়। গবেষণার অংশ হিসেবে পর্যায়ক্রমে আট শতাধিক মানুষের দেহে এ পরীক্ষা চালানো হবে। বিজ্ঞানীদের আশা, ‘চূড়ান্ত পরীক্ষা’ সফল হলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মিলবে প্রতিষেধক।
তবে ওই টিকা মানবদেহে পরীক্ষার ফলাফল জানার আগেই ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট আগামী মে মাসেই টিকা উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পুনেভিত্তিক সিরাম ইনস্টিটিউট সিদ্ধান্ত নিয়েছে অক্সফোর্ডের টিকা পরীক্ষা সফল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না। তার আগেই প্রস্তুতি সেরে ফেলবে। অক্সফোর্ডের যে কনসোর্টিয়াম টিকা উদ্ভাবন করছে তাদের সঙ্গে সিরামের চুক্তি হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ভারতে এখন ৬টি প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাস -কোভিড ১৯ ভাইরাস সংক্রমণের টিকা তৈরির জন্য কাজ করছে। এর একটি হলো সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া।
এ কোম্পানিটি ৫৩ বছরের পুরনো, তারা প্রতি বছর দেড়শ’ কোটি টিকা উৎপাদন করে থাকে। ভারতের পুনেতে তাদের প্রধান ওষধ কারখানা। তবে ছোট আরও দুটো প্ল্যান্ট রয়েছে নেদারল্যান্ডস এবং চেক প্রজাতন্ত্রে।
সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা বলেন, আমরা আর অপেক্ষা করবো না। আমরা মে মাস থেকে শ’খানেক রোগীর ওপর টিকা প্রয়োগ করব। পরীক্ষা সফল হলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে ভ্যাকসিন বাজারে ছেড়ে দেয়া হবে।
কত সংখ্যক টিকা উৎপাদন হবে এবং দাম কত হবে সেটা জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতে এ টিকার দাম হবে এক হাজার রুপি। এরমধ্যে আমাদের খরচও ধরা আছে এতে। লোকজন যাতে টিকা কিনতে পারেন, সেটিও মাথায় রাখা হয়েছে। তবে বিদেশে দাম বেশি হতে পারে। এমএমআর টিকা ভারতে যে দামে পাওয়া যায়, সে তুলনায় যুক্তরাজ্যে দাম দশগুণ বেশি।
ধারণা করা হচ্ছে, মে মাস থেকে উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও করোনাভাইরাসের টিকা বাজারে আসতে সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর হয়ে যাবে।