করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সম্ভাব্য ভ্যাকসিনগুলো মানুষকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে কি না, তা পুরোপুরি পরীক্ষার আগেই সেগুলো উৎপাদন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের (সিইপিআই) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রিচার্ড হ্যাচেট। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে আজ রোববার এ খবর জানানো হয়েছে।
রিচার্ড হ্যাচেট বলেন, ‘কোভিড-১৯-এর কিছু ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষার প্রথম পর্যায়ে থাকলেও এগুলোর উৎপাদন হতে পারে। এর ফলে সময় বেঁচে যেতে পারে।’
মূলত পরীক্ষামূলকভাবে তিনটি পর্যায় পার হওয়ার আগে বড় আকারে ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হয় না। আর এ জন্য কয়েক বছর সময় চলে যায়। গত মার্চে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে এ প্রক্রিয়া কীভাবে ত্বরান্বিত করা যায়, এর পরিকল্পনার প্রথম রূপরেখা প্রকাশ করেছিল সিইপিআই।
রিচার্ড আরো বলেন, ‘আমরা যদি কর্মসূচি শুরুর পর ১২ থেকে ১৮ মাসে আমাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ভ্যাকসিন বিতরণ করতে চাই, তবে সে ঝুঁকি আমাদের নিতে হবে।’ তিনি মনে করেন, আগামী কয়েক বছরে ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য কয়েকশ কোটি ডলার খরচ হতে পারে।
সিইপিআইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘আমরা যদি এক মাসের মধ্যে এই মহামারি কমিয়ে ফেলতে পারি, তাহলে আমাদের শত শত কোটি ডলার বেঁচে যাবে। আর এটি নির্বাচিত নেতাদেরই করতে হবে।’
সিইপিআই বর্তমানে বেশ কয়েকটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের গবেষণা প্রকল্পকে অর্থায়ন করেছে। এর মধ্যে মানবদেহে পরীক্ষার পর্যায়ে থাকা তিনটি ভ্যাকসিনও রয়েছে। এর মধ্যে মডার্না ও ইনোভিও বায়োটেকনোলজি কোম্পানি ভ্যাকসিন পরীক্ষাকাজের প্রথম পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া চীনের ক্যানসিনো কোম্পানির ভ্যাকসিন এ মাসের প্রথম দিকে দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।