বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাব আপাতদৃষ্টিতে শেষ হয়ে যাওয়ার পর, আবার যেন নতুন করে শুরু না হতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী হাসপাতালগুলো যেন করোনায় আক্রান্ত রোগীতে সয়লাব না হয়ে যায়, সে জন্য ২০২২ সাল পর্যন্ত বিশ্ববাসীকে অনিয়মিতভাবে কমবেশি সামাজিক দূরত্ব বা বিচ্ছিন্নকরণ নীতি মেনে চলতে হবে। হার্ভার্ডের একদল গবেষক এমনটাই মনে করেন।
এ ছাড়া সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ নীতি পুরোপুরি তুলে নিলে কেবল করোনার মহামারিকে দীর্ঘায়িত করা হবে মাত্র এবং এর পরিণামে আরো ভয়াবহরূপে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাবে বলে গতকাল মঙ্গলবার সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ খবর জানিয়েছে।
গবেষণাপত্রে বলা হয় করোনার বৈশ্বিক মহামারির গতি-প্রকৃতি নির্ভর করবে এমন কয়েকটি প্রশ্নের ওপর, যেগুলোর উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। প্রশ্নগুলো হলো—ঋতূর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কি ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের ধরনও পরিবর্তিত হবে? মানুষ যখন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হবে, তখন কী ধরনের প্রতিরোধ ক্ষমতা তার শরীরে তৈরি হবে? এবং করোনা গোত্রের অন্য যেসব ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরে মৃদু অসুস্থতা দেখা দেয়, তা কি পরবর্তী সময়ে কোভিড-১৯ রোগে কোনো সুরক্ষা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে?
গবেষণাপত্রে বলা হয়, করোনাভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের মতো মৌসুমি অসুখ হিসেবে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে।
তাই গবেষণাপত্রে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে হাসপাতালগুলোতে বেশি সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষমতা কিংবা কার্যকর কোনো ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা পদ্ধতি না উদ্ভাবন করা গেলে, আগামী ২০২২ সাল পর্যন্ত কমবেশি সামাজিক দূরত্ব বা বিচ্ছিন্নকরণ নীতি গ্রহণ করতে হতে পারে বিশ্বের দেশগুলোকে।