করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে আরো ৩৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশে আজকের দিনেই সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনায় মৃত্যু, আক্রান্ত ও পরীক্ষা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এই তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ১৩৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে দুই হাজার ১১৯টি। গতকালের চেয়ে নমুনা সংগ্রহ ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে আর নমুনা পরীক্ষা ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে গতকাল বুধবার এক হাজার ৭৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ও আক্রান্ত হয়েছে ২১৯ জন। তার আগে গত মঙ্গলবার এক হাজার ৯০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় ও আক্রান্ত হয় ২০৯ জন। এই পর্যন্ত সর্বমোট ১৭ হাজার তিনজনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যা থেকে দেশে এই পর্যন্ত এক হাজার ৫৭২ জন করোনায়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মিলেছে। এ পর্যন্ত মোট ৬০ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে এবং ৪৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।
বয়সের হিসাবে মৃত রোগীদের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ বছরের একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের তিনজন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছে। এই ১০ জনের মধ্যে পুরুষ সাতজন ও নারী তিনজন। ঢাকায় ছয়জন ও ঢাকার বাইরে চারজন।
নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আছেন ৩৭ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন ৪৬১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন নয়জন। এখন পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ৮৭৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন চার হাজার ৪৯৯ জন। এ পর্যন্ত মোট হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৯৯ হাজার ২০৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৭১৫ জন। এখনো পর্যন্ত মোট প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন তিন হাজার ৮৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে পাঁচ হাজার ২১৪ জনকে। এ পর্যন্ত এক লাখ তিন হাজার ৭৯ জন কোয়ারেন্টিনে আছেন। কোয়ারেন্টিন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন নয় হাজার ২৫ জন। মোট ছাড়া পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৫০৫ জন।’