করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জন হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে আরো ৩৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট এক হাজার ৫৭২ জন আক্রান্ত হলো।
আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘দেশে করোনাভাইরাসে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে আরো ৩৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট এক হাজার ৫৭২ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।’
বয়সের হিসাবে মৃত রোগীদের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ বছরের একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের তিনজন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছে। এই ১০ জনের মধ্যে পুরুষ সাতজন ও নারী তিনজন। ঢাকায় ছয়জন ও ঢাকার বাইরে চারজন।
নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আছেন ৩৭ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন ৪৬১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন নয়জন। এখন পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ৮৭৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন চার হাজার ৪৯৯ জন। এ পর্যন্ত মোট হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৯৯ হাজার ২০৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৭১৫ জন। এখনো পর্যন্ত মোট প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন তিন হাজার ৮৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে পাঁচ হাজার ২১৪ জনকে। এ পর্যন্ত এক লাখ তিন হাজার ৭৯ জন কোয়ারেন্টিনে আছেন। কোয়ারেন্টিন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ৯ হাজার ২৫ জন। মোট ছাড়া পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৫০৫ জন।’
নাসিমা সুলতানা আরো বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা নমুনা সংগ্রহ করেছি দুই হাজার ১৩৫টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০১৯টি। গতকাল বুধবারের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এবং পরীক্ষা করার হার ১৬ শতাংশ বেশি।’
গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন বা আইইডিসিআরের হটলাইনে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৯৬ হাজার ৭৪২ জনকে। এ পর্যন্ত সেবা দেওয়া হয়েছে ২৫ লাখ ২৩ হাজার ৬৪১ জনকে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক হিসেবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্য ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে হটলাইনে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত যুক্ত ছিলেন মোট তিন হাজার ৮৫৩ জন চিকিৎসক। যারা সাধারণ জনগণকে করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন।