করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৯৮ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে এবং এর আগের দিন বৃহস্পতিবার ২৪২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় ৫২১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন।
আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান। তিনি জানান, গতকাল নিয়মিত ব্রিফিংয়ের সময় ভুলবশত সুস্থ রোগীর তথ্য জানানো যায়নি। কিন্তু গতকাল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৪২ জন এবং আজ সুস্থ হয়েছেন ২৭৯ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন তিন হাজার ৮৮২ জন।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ৫৮২ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৫৩৯ জনের। এর মধ্য থেকে এক হাজার ২০২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আজকে ৪১টি ল্যাব থেকে করোনার পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ২০টি ল্যাব ও বিভিন্ন জেলায় ২১টি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জন মৃত্যুবরণকারীর মধ্যে পুরুষ সাতজন ও নারী আটজন। এ ছাড়া মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৯০ বছরের ওপরে দুজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আটজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো এক হাজার ২০২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২০ হাজার ৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশে আজই সর্বাধিক রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এই পর্যন্ত মোট এক লাখ ৬০ হাজার ৫১২ জনের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ের করোনাইনফো নামক ওয়েবসাইট থেকে দেখা গেছে, করোনায় মোট আক্রান্তের মধ্যে ১৯ দশমিক ৩ ভাগ সুস্থ হয়েছেন। এ ছাড়া ১ দশমিক ৫ ভাগ লোকের মৃত্যু হয়েছে।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী আক্রান্তের খবর আসে। এর পর থেকে দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে সুস্থতার হার খুব কম ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নতুন সুস্থতার গাইডলাইন আসার পর থেকে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।