করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেশবাসী মানুষ আর্থিক লোকসানের মধ্যে রয়েছে। সে কথা বিবেচনা করে সব সরকারি-বেসরকারি স্কুলের ছয় মাসের বেতন মওকুফ করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন মানবাধিকার সংস্থা সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন মুন্না।
এ মানবাধিকারকর্মী তাঁর ফেসবুকে পেজে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন। তাঁর ফেসবুকের পোস্টটি এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো।
‘বাংলা আমার হৃদয়ের সুর/ এ নববর্ষে সকল গ্লানি হয়ে যাক দূর‘- এ স্লোগানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী ‘শেখ হাসিনা’ আপনার প্রতি বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো। আপনি আপনার প্রতিটি সিদ্ধান্তে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিকে বিশ্বের দরবারে যেভাবে সফলতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন- তা শুধু আমাদের গর্বের বিষয়ই নয় বরং বহির্বিশ্বে একজন সৎ, সাহসী ও বিচক্ষণ জননেত্রী হিসেবে সত্যিই প্রশংসনীয়। যা আমাদের কল্পনারও ঊর্ধ্বে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার জন্য হৃদয়ের গহীন থেকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা মনের অজান্তেই চলে আসে। কারণ আপনি আমাদের জন্য যা ভাবেন এবং করেন তা আমাদের চাহিদার আগেই পূরণ হয়ে যায়। একটা বিষয়ে আপনার কাছে বর্তমান পরিস্থিতিতে পরামর্শ হিসেবে উপস্থাপন করার খুবই ইচ্ছে হলো। হয়তো আমার এই পরামর্শের বহু আগে আপনি তা ভেবে রেখেছেন। আমরা যারা কম বেতনে চাকরি করি। সেই বেতনের প্রায় ৭০ ভাগ আমাদের বাসা ভাড়া ও বাচ্চাদের স্কুলের বেতন দিতেই চলে যায়। বাকি ৩০ ভাগ দিয়ে আমাদের খাওয়া-দাওয়া, চিকিৎসা এবং যাতায়াত বাবদ ব্যয় হয়।
কেউ সামান্য গচ্ছিত রাখতে পারেন, কেউবা পারেন না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এই ভয়বহ সময়ে বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে যদি সব সরকারি-বেসরকারি স্কুলের অন্তত ছয় মাসের বেতন মওকুফ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন তাহলে এই প্রেক্ষাপটে আমাদের জীবন অনেকটা সহজ হয়ে উঠবে। আশা করি, আপনি আপনার বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমাদের জন্য এই সুযোগ করে দিয়ে আমাদের জন্য এই ক্রান্তিকাল অতিক্রমে সহায়ক হবেন। আপনার দীর্ঘ জীবন ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।’