দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো এক হাজার ৪১ জন করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ঢাকায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৭৫৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ১৮ হাজার ৮৬৩ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
বুলেটিনে অধ্যাপক নাসিমা বলেন, ‘করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯-এ গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৮৩ জনের মৃত্যু হলো।’ তিনি আরো বলেন, দেশে করোনা থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে তিন হাজার ৩৬১ জন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোনো সুস্থতা নেই।
আজ দুপুরে করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিন থেকে আরো জানা যায়, গতকালের চেয়ে আজ ১২১ জন কম আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল এক হাজার ১৬২ জন।
ডা. নাসিমা সুলতানা বুলেটিনে বলেন, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সাত হাজার ৮৩৭টি। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ হয়েছিল সাত হাজার ৮৬২টি। নমুনা সংগ্রহ আগের দিনের চেয়ে ২৫টি কম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৪১টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে সাত হাজার ৩৯২টি। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল সাত হাজার ৯০০টি। গতকালের চেয়ে নমুনা পরীক্ষা ৫০৮টি কম। এ পর্যন্ত দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ৯৩০টি।’
ড. নাসিমা সুলতানা জানান, ঢাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় মোট চার হাজার ৫৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৭৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৪ জনের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং তিনজন নারী। ঢাকায় ৯ জন মারা গেছেন। বাকি পাঁচজন চট্টগ্রামে, যোগ করেন ড. নাসিমা।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর পর গত ১৪ এপ্রিল ৩৮তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়। বর্তমানে দেশে ১৮ হাজার ৮৬৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আজ বৃহস্পতিবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৯৮ হাজার ২৯৬ জনে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।