করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর আজ শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের একটি ভবন লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। আড়াই সপ্তাহ আগে ওই ব্যক্তি সপরিবারে নারায়ণগঞ্জ থেকে গোপনে গাজীপুরে এসেছিলেন।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী হাফিজুল আমীন বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে অফিস ও কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ১৭ থেকে ১৮ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে পরিবার নিয়ে গাজীপুরে আসেন ওই ব্যক্তি। তিনি নারায়ণগঞ্জে চাকরি করতেন। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় ভাড়াবাসায় বসবাস করেন। গত কয়েকদিন ধরে ওই ব্যক্তি জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ নিয়ে ভুগছিলেন। বিষয়টি অন্যদের না জানিয়ে গোপন রাখে পরিবারটি।’
ইউএনও আরো বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি গুরুতর অসুস্থ পড়লে স্বজনরা তাঁকে প্রথমে স্থানীয় সফিপুর জেনারেল হাসপাতালে ও পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তাঁর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তিনি মারা যান।’
ইউএনও বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ নিয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর সংবাদ দুপুরে স্থানীয়দের কাছে থেকে জানতে পেরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়। লকডাউন ঘোষণার সময় নিহতের স্বজনরা কালিয়াকৈরের ভাড়া বাসায় ছিলেন না। তারা ফিরলে পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।’
তবে নিহতের পরিবারটি ওই বাড়ির অন্যদের সংস্পর্শে যায়নি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।