করোনাভাইরাসের থাবায় স্থবির গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশও এই মহামারির বাইরে নয়। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলে। এর পর থেকে তা বেড়েই চলছে। একই সঙ্গে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও।
মূলত করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই লকডাউনে আছে বাংলাদেশ। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছে অসংখ্য নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।
করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন ও অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মারওয়া ফাউন্ডেশন। অন্য সময়ের মতো এবারও ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অসহায় দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নিত্যপণ্য উপহার হিসেবে।
গত মার্চ থেকে রমজান পর্যন্ত দুই হাজার পরিবারের হাতে নিত্যপণ্য উপহার হিসেবে তুলে দেয় মারওয়া ফাউন্ডেশন। এ ছাড়া করোনার মধ্যেও জীবিকার তাগিদে বের হওয়া বা খাবারের সন্ধানে রাস্তায় বের হওয়া মানুষের মধ্যেও রান্না করা খাবার বিতরণ করে মারওয়া ফাউন্ডেশন।
এদিকে, মারওয়া ফাউন্ডেশন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রোজার আগের দিন ২৪ এপ্রিলও ২৪৩টি পরিবারের হাতে রমজানের উপহারসামগ্রী পৌঁছে দেয়। এ ছাড়া ২৫ এপ্রিল প্রথম রমজানে তিন শতাধিক মানুষের মধ্যে রান্না করা ইফতার বিতরণ করে।
মারওয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা হোসাইন তারেক ও সহপ্রতিষ্ঠাতা নাহিয়ান ফারাবির তত্ত্বাবধানে সংগঠনের সদস্য হাসান মাহমুদ, শারমিন আক্তার সুমি, ইকবাল আলম, মাহফুজ আলম, অভি, সঞ্জিব রায়, ড. আশীষ সমাদ্দার, অরবিন্দ সাহা, মেহেদী হাসান, শাহজালাল সজীব অসহায় ও কর্মহীন মানুষের মধ্যে উপহারসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। এ ছাড়া সংগঠনের প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মানবসেবায়।
মারওয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সব সময় অসহায় মানুষের পাশে থাকবে মারওয়া ফাউন্ডেশন। নিজেদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর।
এর আগে বছরের শুরুতে এতিম শিক্ষার্থীদের নতুন পোশাক বিতরণ, শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণসহ সারা বছরই মানবকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত রেখেছে মারওয়া ফাউন্ডেশন।