ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন অংশে বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার রোধ করার লক্ষ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে নানামুখী তৎপরতা গ্রহণ করা হলেও পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছে না।
ফলে জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে করোনা ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে গেছে। এদিকে জেলায় লকডাউন চলাকালে সোমবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড এলাকায় অনেক গার্মেন্টস কর্মীকে পায়ে হেঁটে এবং পিকআপ ভ্যানে করে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে।
গার্মেন্টস কর্মী নারগিস ও শেফালি জানান, তারা বহিরাগত নন। এই জেলার আশুগঞ্জ এলাকায় রাইডার নামে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ছিলেন। আজ তাদেরকে বেতন বোনাস দেয়ার কথা ছিল। যার কারণে তারা শতাধিক শ্রমিক ওই কোম্পানি জরো গিয়ে জরো হয়েছিলেন। কিন্তু বেতন বোনাস না দিয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাঁটি হাতা বিশ্বরোড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা লকডাউন ঘোষণা করার পর বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার ঠেকাতে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশের পক্ষ থেকে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
কিন্তু বিভিন্ন পকেট দিয়ে বহিরাগতরা প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মহড়া সহ ধরনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে।